নির্দেশ: হোয়াটসঅ্যাপ থেকে গণহত্যা
সময়: ৪ আগস্ট, ২০২৪ | স্থান: নারায়ণগঞ্জ | রাত ১:২৩
কেউ ঘুমায়নি সেদিন। তবে কেউ জানতেও পারেনি, ঠিক তখনই একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বদলে দিচ্ছিল এক শহরের ভবিষ্যৎ।
“কাল যা করবি, বুঝে করবি। না করলে দেশ ছাইড়া পালানো লাগব সবার।“
— লিখেছেন কাউসার ভাই।
সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি ভয়াবহ বার্তা:
“জেইরে সামনে পাবি, পায়ের ভিতরে গুলি মারবি।“
চ্যাটের ভেতর একের পর এক হুকুম।
-
MP চাচা বলেছেন, দরকার হলে বন্দুক হাতে রাস্তায় নামবেন।
-
“পোলাপানদের নাম লিস্টে রাখ, রাতে যারে পাবি, ধইরা মার।”
সবশেষে বলা হয়—
৫ লাখ টাকা রেডি, খরচের জন্য। কেউ যেন “না” না করে।
সাধারণ চ্যাটের মতো লাগলেও, এটা ছিল গণহত্যার ব্লুপ্রিন্ট।
সময়: ৫ আগস্ট, ২০২৪ | সকাল
শুরু হয় অন্ধকার ইতিহাসের এক ভয়াবহ অধ্যায়।
নারায়ণগঞ্জে, সরকার পতনের আগের দিন, হঠাৎ শুরু হয়
-
পিস্তল
-
রাইফেল
-
শটগান
…এবং ভয়ভীতির রাজত্ব।
নিরীহ মানুষের বাড়িতে হানা। রাস্তার মোড়ে গুলি। ক্যামেরা বন্ধ। পুলিশ চুপ।
শহরের বাতাস কাঁপছিল একটাই নাম নিয়ে—“কাউসার ভাই বলছে।”
দেশজুড়ে গণআন্দোলন শুরু।
নারায়ণগঞ্জে ঘটে এক বিভীষিকাময় রাত—যেখানে সাধারণ মানুষ, তরুণ, বৃদ্ধ, নারী—কেউ রেহাই পায় না।
মিডিয়ার চোখ বন্ধ। হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও ভাইরাল হয় না—কারণ সেটাও নিয়ন্ত্রণে।
তবে, এক সাহসী যুবক, যিনি আগে ZN IT-তে কাজ করতেন, গোপনে সব তথ্য সংরক্ষণ করেন।
Post Comment