Loading Now

মালয়েশিয়ায় কাউসারের ফাঁদে ধরা পড়ে রিয়া: চাকরির নামে বিকৃত যৌননির্যাতন

ঘটনার শুরু বাংলাদেশে

২০২৪ সালের নভেম্বর।
রিয়া নামের এক তরুণী নারায়ণগঞ্জের একটি এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ‘স্পা থেরাপিস্ট’-এর চাকরির অফার পান।
যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তার নাম মো. কাউসার
পরে জানা যায়, তিনি নারায়ণগঞ্জের আহমেদ কাউসার, যিনি আলোচিত অপরাধী ও নারী পাচারকারী হিসেবে পরিচিত।

✈️ মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পরই শুরু হয় বিভীষিকা

কুয়ালালামপুরে একটি অভিজাত ভবনে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হয় অসামান্য ‘থেরাপি’ ট্রেনিং

  • নগ্নতা শেখানো

  • বিকৃত যৌন আচরণে প্রশিক্ষণ

  • পুরুষ কাস্টমারের ‘বিশেষ চাহিদা’ পূরণে বাধ্য করা

রিয়াকে বলা হয়—

“তুমি এখন কাউসার ভাইয়ের পণ্য। টাকা আসবে, নইলে দেশে ফেরত পাঠিয়ে ভিডিও ভাইরাল করে দেব।”

ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইল

ঘরে লুকানো ক্যামেরায় তার সব কিছু রেকর্ড করা হয়।
একবার পালিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে গেলে, “তোমার বিরুদ্ধে চুরি ও অনুপ্রবেশের মামলা আছে” বলে মালয়েশিয়ান পুলিশে দেওয়া হয় মিথ্যা অভিযোগ।
সব প্রমাণ কাউসারের স্ত্রী মারিয়া ও তার সহযোগীরা সরবরাহ করতেন।

বড় চক্র, অনেক শিকার

রিয়ার মতো আরও ৯ জন বাংলাদেশি নারী এই চক্রে আটকে আছেন—এমন তথ্য দিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা।
তারা জানায়,

“এই চক্র মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ে ২৫টির বেশি ফ্ল্যাটে নারী সরবরাহ ও ভিডিও তৈরি করে।”

রিয়াকে উদ্ধার করা হয়

রিয়ার ঘটনা প্রকাশের পর মালয়েশিয়ার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যস্থতায় ২০২৫ সালের জুলাইয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে সে ঢাকায় অবস্থান করছে এবং কাউসারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চায়।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED