Loading Now

শামীম অয়ন আজমেরী সবার সঙ্গেই ছিল ঘনিষ্ঠতা মুন্না-হাসানে’র।

 

নারায়ণগঞ্জ টিভি :আওয়ামিলীগের ফ্যাসিবাদিতে বাদ পরেনি যেন কিছুই, ঠিক তেমনই নারায়ণগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার অফিস ছিল বিগত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামিলীগের কর্মী এবং দোষরদের জন্যে চাঁদাবাজির একটি নজিরবিহীন পথ। সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষের টাকা থেকে শুরু করে চাঁদাবাজির টাকা ভাগ বন্টন নিয়ন্ত্রণ করতেন সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মরত স্টাফ, আপন দুই ভাই সাব রেজিস্ট্রার অফিসের তল্লাশি কারক আওয়ামিলীগের দোষর হিসেবে পরিচিত সাদ্দাম হোসেন মুন্না এবং মেহেদী হাসান। (পিতা: কফিলউদ্দিন ভুঁইয়া, বাড়ি : ২৩নং ওয়ার্ড নবিগন্জ বাগ বাড়ী, বন্দর উপজেলা)। এসব ভাগ বন্টন নিয়ন্ত্রণ এ রাখতে নারায়ণগঞ্জের -৪ এর সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমান ও তার ভাতিজা আজমিরি ওসমান এবং প্রয়াত নাসিম ওসমানের সহধর্মিণী পারভীন ওসমানের সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতেন।
এসব চিহ্নিত চাঁদাবাজরা এখনো সাব রেজিস্টার অফিসে স্বপদে বহাল রয়েছে। পাশাপাশি বিগত দিনে যারা চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতো তারা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সাব রেজিষ্টার অফিসে বিগত দিনে চাঁদার টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ১৫ মে আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমান বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, সেই সুত্রের জেড়েই তথ্য বেড়িয়ে আসতে শুরু করে যে আসলে চিহ্নিত চাঁদাবাজরা ফ্যাসিষ্ট সরকারের সকলের সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতেন।
সুত্রে জানা যায়, ভাগের অংশ আজমিরি ওসমান এবং অয়ন ওসমানের হাতে পোঁছে দিতেন এখনো বহাল সাব রেজিস্ট্রার অফিসের তল্লাশি কারক আওয়ামিলীগের দোষর হিসেবে পরিচিত সাদ্দাম হোসেন মুন্না এবং মেহেদী হাসান দু’ভাই। এছাড়াও বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে এবং পার্টিতেও এই দু’ভাইয়ের আনাগোনা হরহামেশাই দেখা যেত ওসমান পরিবারের সঙ্গে। তারা বিগত ফ্যাসিষ্ট আমলেও চাঁদাবাজিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে এবং এখনো নারায়ণগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার অফিসে চাঁদাবাজির সম্রাজ্য বহাল রেখেছে। যে কারণে এসব চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি উঠেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও এখনো বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে রয়েছে পলাতক ওসমান পরিবারের অনুসারীরা। নারায়ণগঞ্জ সাব রেজিস্টার অফিসেও এখনো পলাতক ওসমান পরিবারের ঘনিষ্টজন ও দোষর হিসেবে চিহ্নিত চাঁদাবাজ দু’ভাই মুন্না-হাসান এখনো সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের ফোন করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Post Comment

YOU MAY HAVE MISSED